ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদের কারবারিদের পোয়াবারো

ঋণের বৃত্তে বন্দি নিম্ন আয়ের মানুষ, পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক পরিবার

নিজস্ব সংবাদ

ঋণের বৃত্তে আটকা পড়েছেন বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের তিন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। কিছুতেই এ বৃত্তের নাগপাশ থেকে মুক্তি মিলছে না। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং সুদের কারবারিদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে পড়ছেন বেকায়দায়।

ঋণের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় করছেন। ফলে পরিশোধ করতে না পারায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। এনজিওগুলো টার্গেট পূরণে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ দিচ্ছে। ঋণ পরিশোধের জন্য এনজিও এবং সুদ কারবারিদের অব্যাহত চাপের মুখে ঋণগ্রস্তরা হয়ে পড়ছেন দিকভ্রান্ত। মানসিক যন্ত্রণায় অনেকেই এখন এলাকাছাড়া। অনেকেই অভাবের তাড়নায় হতাশ হয়ে বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। ঋণের বৃত্তে বন্দি হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বৃহত্তর রাজশাহীর তিনটি জেলা-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে এ ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে অবশ্য সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা রাজশাহী অঞ্চলে বেশি ঘটছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় ১১ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। গত ৫ দিনে শুধু রাজশাহীর দুটি উপজেলাতেই ছয়জনের মৃত্যু ঘটেছে। ঋণ আর অভাবের কারণে ১৫ আগস্ট গভীর রাতে স্ত্রী, ছেলে ও শিশুকন্যাকে হত্যার পর রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামের মিনারুল ইসলামের আত্মহত্যার ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনার আগে মিনারুল দুই পাতার একটি চিরকুট লিখে যান। পুলিশ সেই চিরকুট তার ঘর থেকে উদ্ধার করে।

চিরকুটে তিনি লেখেন, ঋণের চাপে ও খাবারের অভাবে তিনি একে একে স্ত্রী মনিরা, ছেলে মাহিম এবং তিন বছরের কন্যা ছোট্ট মিথিলাকে হত্যার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৫:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
১৬৬ বার পড়া হয়েছে

সুদের কারবারিদের পোয়াবারো

ঋণের বৃত্তে বন্দি নিম্ন আয়ের মানুষ, পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক পরিবার

আপডেট সময় ০৫:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ঋণের বৃত্তে আটকা পড়েছেন বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের তিন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। কিছুতেই এ বৃত্তের নাগপাশ থেকে মুক্তি মিলছে না। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং সুদের কারবারিদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে পড়ছেন বেকায়দায়।

ঋণের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় করছেন। ফলে পরিশোধ করতে না পারায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। এনজিওগুলো টার্গেট পূরণে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ দিচ্ছে। ঋণ পরিশোধের জন্য এনজিও এবং সুদ কারবারিদের অব্যাহত চাপের মুখে ঋণগ্রস্তরা হয়ে পড়ছেন দিকভ্রান্ত। মানসিক যন্ত্রণায় অনেকেই এখন এলাকাছাড়া। অনেকেই অভাবের তাড়নায় হতাশ হয়ে বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। ঋণের বৃত্তে বন্দি হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বৃহত্তর রাজশাহীর তিনটি জেলা-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে এ ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে অবশ্য সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা রাজশাহী অঞ্চলে বেশি ঘটছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় ১১ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। গত ৫ দিনে শুধু রাজশাহীর দুটি উপজেলাতেই ছয়জনের মৃত্যু ঘটেছে। ঋণ আর অভাবের কারণে ১৫ আগস্ট গভীর রাতে স্ত্রী, ছেলে ও শিশুকন্যাকে হত্যার পর রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামের মিনারুল ইসলামের আত্মহত্যার ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ মর্মান্তিক ঘটনার আগে মিনারুল দুই পাতার একটি চিরকুট লিখে যান। পুলিশ সেই চিরকুট তার ঘর থেকে উদ্ধার করে।

চিরকুটে তিনি লেখেন, ঋণের চাপে ও খাবারের অভাবে তিনি একে একে স্ত্রী মনিরা, ছেলে মাহিম এবং তিন বছরের কন্যা ছোট্ট মিথিলাকে হত্যার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।